আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লকডাউনে সারাদেশে আগামী তিন দিনের বিধি নিষেধ

ডেস্ক রিপোর্ট

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কঠোর লকডাউন শুরুর আগে আগামী তিন দিনের বিধি-নিষেধে কী কী খোলা থাকবে, কী কী বন্ধ থাকবে তা জানিয়েছে সরকার।

আজ রবিবার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা রয়েছে।
উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল গত শুক্রবার কিন্তু শনিবার জানানো হয়, সেই লকডাউন শুরু হবে ১ জুলাই।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আগের তিন দিনের বিষয়ে নির্দেশনা জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনা :
** সোমবার থেকে পণ্যবাহী গাড়ি ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
** সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
** খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা নাগাদ শুধু খাবার বিক্রি করতে পারবে।
** সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকবে সীমিত জনবল নিয়ে। সেই সব কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।

এরপর কঠোর লকডাউন প্রাথমিকভাবে সাত দিনের জন্য জারি করা হলেও প্রয়োজনে এর মেয়াদ বাড়তে পারে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বিধি-নিষেধ মানাতে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

বাজেটের কাজে সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক শাখা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি অফিস আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে আগেই জানানো হয়।

২০২১ সালের শুরুতে সংক্রমণের নিম্নগতিতে বিধি-নিষেধ ছিল না বললেও চলে। এই সময় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া পরিকল্পনাও সরকার করেছিল।
কিন্তু মার্চ মাসের শেষে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি নাজুক করে তুললে এপ্রিলে সারাদেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা ছিল আগের বছরের তুলনায় শিথিল।

পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতিতে সেই বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও করোনাভাইরাসের ভারতে উদ্ভুত ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে সীমান্ত জেলাগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কঠোর লকডাউন এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর